চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়লো জাপান

0
207

সারাবেলা ডেস্ক: বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) চাঁদে সফল অবতরণ করেছে জাপানের চন্দ্রযান ‘মুন স্নাইপার’। খবর আল জাজিরার।

দেশটির মহাকাশ সংস্থা জেএএক্সএ জানায়, নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো মনুষ্যহীন চন্দ্রযান ল্যান্ডার বা ‘মুন স্নাইপার’ সফলভাবে লক্ষ্যের ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণ করে। বিজ্ঞানীরা বলছে, চাঁদের বুকের একটি গর্ত সংলগ্ন এলাকাকে মহাকাশযান নামানোর আদর্শ জায়গা বলে বেছে নেয়া হয়েছে।

চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান নামানোর জন্য এমন এলাকা বেছে নেয়ার কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে আছে চাঁদের বুকের ঢাল। গর্ত সংলগ্ন এলাকার জমি ১৫ ডিগ্রির কম ঢালু, যা নভোযান নামানোর জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়। একইসঙ্গে চাঁদে পানি ও মানুষের বাসস্থানের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে চন্দ্রযানটি। চাঁদে পানির রহস্য খুব সহজেই উদঘাটন করতে পারবে বলে আশাবাদী দেশটির বিজ্ঞানীরা।

এরইমধ্যে বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। কেননা মহাকাশযানটির সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন ব্যাটারির ওপর নির্ভর করছে যানটি। ফলে এই মিশন হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবে ব্যাটারির শক্তি শেষ হওয়ার আগেই সোলার সিস্টেম সচলের চেষ্টা চলছে বলে জানায় জাক্সা।

গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তানেগাশিমা দ্বীপের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে এইচ-আইআইএ রকেটে চড়িয়ে চন্দ্রযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। স্লিমের অবতরণের পর এবার চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা চলবে। চাঁদের জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনা হবে অনেক নতুন তথ্য।

জাপানের ল্যান্ডার স্লিম (স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেশন মুন) থেকে যে রোভার নামবে চাঁদের বুকে, তা এক্স-রে ছবি তুলবে। কৃষ্ণগহ্বর, নিউট্রন স্টার এবং সুপারনোভার উচ্চ মানের এক্স-রে তুলে জাপানের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে পাঠানো হলে সেগুলোর গঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।

জাপানের আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারত সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছে।

সারাবেলা/সংবাদ/এসএ/বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here