ঢাকায় মেডিকেল ট্যুরিজম কনক্লেভ-২০২৪ অনুষ্ঠিত

0
225

সারাবেলা ডেস্ক: ঢাকায় আসামের ব্যতিক্রম মাসদো-র উদ্যোগে মেডিকেল ট্যুরিজম কনক্লেভ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিলো বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন, গৌহাটি, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এবং সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এ কনক্লেভটি অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতের পিয়ারলেস হাসপাতাল, রাজধানী গ্রুপ, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ, ইউজেডইউ হেলথ, আইএলএস হসপিটালস, ইন্টেগ্রা ভেঞ্চারস, ইনষ্টিটিউট অব ইউরোলোজি, ডেন্টাল পেশেন্ট এন্ড ইমপ্লান্ট সেন্টার, দ্যা ইলিউমিস ক্লিনিক এবং সিকে বিড়লা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ কনক্লেভটিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের শতাধিক বিশেষজ্ঞ এবং ওষুধ শিল্পের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে সর্বমোট চারটি সেশনে দিনব্যাপী এই কনক্লেভে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার স্বাস্থ্য অবকাঠামোগত বৈষম্য কমিয়ে আনা, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুদেশের বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সহযোগীতা বৃদ্ধি এবং এসবের মাধ্যমে দুদেশের জনগণের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করায় বিশেষজ্ঞরা আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।

এর আগে কনক্লেভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার সহযোগিতা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যখাতে অধিকতর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি মন্তব্য করেন যে প্রতি বছর বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে চিকিৎসায় প্রায় আট থেকে দশ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে দেশের মানুষের জন্য দেশেই উন্নততর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা গেলে তাতে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের লক্ষ্যও তাই।

তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে চিকিৎসায় প্রায় আট থেকে দশ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে দেশের মানুষের জন্য দেশেই উন্নততর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা গেলে তাতে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের লক্ষ্যও তাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) শামসুল আরেফিন একাত্তরের দিনগুলির কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সার্বিক কল্যাণে স্বাস্থ্যখাতে একই রকম সহযোগীটার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রত্যাশা করেন যে, এ ক্ষেত্রে এই কনক্লেভটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে কিনোট প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনক্লেভটির কো-অর্ডিনেটর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি ভারতের সেভেন সিস্টারসের রোগীদের সহজে এবং সুলভে উন্নত চিকিৎসা প্রাপ্তির স্বার্থে তাদের বাংলাদেশের আসায় উৎসাহিত করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি মনে করেন, যথাযথ উদ্যোগ নেয়া গেলে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সাড়া মিলবে কারণ ভারতের নর্থইস্টের সাথে আমাদের যোগাযোগ ভারতের অন্যান্য অংশের চেয়ে এখন অনেক বেশি সহজ আর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অন্যান্য সব সেক্টরের মত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতেও এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। তিনি আশা করেন. এই কনক্লেভটি সহযোগিতার এই নতুন ক্ষেত্রটিকে উন্মোচন করবে।

ব্যতিক্রম মাসদো-র সভাপতি আসামের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. সৌমেন ভারতীয়র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন আসামের বিশিষ্ট সাহিত্যিক মিসেস রীতা চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের পালমোনোলজিষ্ট অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো বাংলাদেশের একুশে টিভি ও রাজ টিভি এবং ভারতের প্রাগ নিউজ, দৈনিক জন্মভূমি এবং মার্কস পাবলিক রিলেশনস।

সারাবেলা/সংবাদ/এসএ/রাজধানী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here