আশরাফ আলী খান খসরু: সত্য বলার সাহস সবার থাকে না। আবার সাহস থাকলেও অনেকে সত্য কথা বলে না স্বার্থের কারণে। কিন্তুু কিছু মানুষ নিজের স্বার্থের কথা ভাবেন না। ভাবেন বৃহৎ স্বার্থ। মানুষের স্বার্থ, দেশের স্বার্থের কথা ভেবে সত্যকে তুলে ধরেন সবার সামনে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত এমনই একজন। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনীতিবিদ। যিনি সবসময় চেষ্টা করেন দেশের স্বার্থকে সামনে রেখে কথা বলার এবং কাজ করার। হয়তো এজন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারও বেশি। নিন্দুকের টার্গেট তিনি। যার কারণে তিনি তাদের চিহ্নিত শত্রু। তিনি তার গবেষণায় দেখিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী বিরোধী চক্র কিভাবে দেশে বিদেশে সংঘটিত। কিভাবে তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। কিভাবে তারা একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করে। তিনি নাম দিয়েছেন ‘আনহোলি ইভিল নেক্সাস’। এই ইভিল নেক্সাসই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি জারি করেছে। জামায়াতকে পৃষ্টপোষকতা করেছে। তারাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে বারবার। যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিদেশেও হত্যার চেষ্টা করেছে। এবং এই চক্রটি সবসময় ক্রিয়াশীল দেশ ও দেশের বাইরে। এদের মদদদাতা রয়েছে বিদেশে এবং দেশে তো বটেই। ফলে এই চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে নানা রাজনৈতিক অরাজনৈতিক মহলে ক্রিয়াশীল। এই চক্রটিই আবার মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিরুদ্ধে সক্রিয়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত একজন উচ্চ শিক্ষিত, সজ্জন মানুষ। যার বাবা মোহাম্মদ সেতাবউদ্দিন নিজেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দুই চাচা শহীদ হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ, বাংলাদেশ দর্শন- তা তিনি ধারণ করেন আশৈশব মনে প্রাণে। বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে তিনি এই সময়ের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন। তার অবস্থান খুবই স্পষ্ট। তিনি আগেই বলেছেন, নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই। জয়বাংলা ও জিন্দাবাদের মধ্যে কখনো ঐক্য হতে পারে না। জয় বাংলা স্লোগানকে সার্বজনীন করতে তিনি কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।
অধ্যাপক আরাফাত বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সংগঠন সুচিন্তা ফাউন্ডেশন। সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের তরুণদের আইকন। আজকে যার কারণে অনেক তরুণ সম্মানের সঙ্গে দেশে বসে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এই মেধাবী প্রযুক্তিবিদের পাশে এসে দাড়িঁয়েছেন অধ্যাপক এ আরাফাত। সারাদেশের তরুণদের উদার ও গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শে, স্বাধীনতার চেতনায় একটি প্লাটফর্মে এনে দাড়ঁ করাবার চেষ্টা করছেন সৎভাবে। গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষাকে, তরুণদের কর্মসংস্থানকে। উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও তরুণদের সচেতন করবার চেষ্টা করেছেন। আমি নিজেও অংশ নিয়েছি সুচিন্তার অনেক কর্মকান্ডে।
আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচন। অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মাঝি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যথার্থ বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত তিনি। তিনি যে একজন পরিশীলিত, প্রজ্ঞাবান মানুষ তা তার প্রচারণা দেখেই সাম্যক উপলব্দি করা যায়। কোন বাহুল্য নেই, অতি রঞ্জন নেই। বাড়তি চাকচিক্য নেই, তিনি যাচ্ছেন প্রতিদিন মানুষের দোড়গোড়ায়, নৌকা নিয়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে।
অপপ্রচার থাকবে, বিরুদ্ধাচারণ থাকবে। এর মধ্যেই লড়াই সংগ্রাম করে এগিয়ে যেতে হবে সবসময়। জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন তার জলন্ত উদাহরণ। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুও আমাকে এই সংগ্রামের আদর্শই শিখিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি আমি শুধু আমার নই। আমি জনমানুষের। বহু না পাওয়া, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আছে আমার উপর। তাই কঠিন হলেও এই পথটি একধরনের পরিতৃপ্তির, জনকল্যাণের। আমি নিজেও মানুষের কল্যাণে উৎসর্গকৃত জীবনকেই, জীবনের শ্রেষ্ট্রতম পথ বিবেচনা করি।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন মডেল নির্বাচন হয়ে থাকুক। অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাতও উদাহরণ হয়ে থাকুক যোগ্যতা, মেধা, পরিশীলতা, প্রচারণার রুচির ধরণ- সকল অর্থে।
জয়বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: সংসদ সদস্য, প্রতিমন্ত্রী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়।