অ্যাম্বুলেন্স-শ্যামলীর ধাক্কায় নিহত পরিবারকে ১০ লাখ ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

0
189

সারাবেলা ডেস্ক: ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষের সড়ক ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আপাতত ১০ লাখ টাকা দিতে শ্যামলী এনআর পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবারের (১৪ ডিসেম্বর) মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ৫ লাখ টাকা ও ১৫ দিনের মধ্যে আরও ৫ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে শ্যামলী এনআর পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন।

এ-সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। শ্যামলী এনআর পরিবহনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও তারিকুল ইসলাম। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার রূপনগরের সবজি বিক্রেতা আয়নাল হোসেন তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা সেতুর পাশে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে আয়নাল হোসেনের মৃত্যু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরও মৃত্যু হয়।

নিহত অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম দ্বীন ইসলাম (৪৫)। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানায়। এ ঘটনায় আহত হন আয়নাল হোসেনের তিন ছেলে ফরিদ হোসেন (২০), ফরহাদ হোসেন (১৮) ও ফিরোজ হোসেন (২৯)।

পরে ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় সাতজন বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৭ আগস্ট সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে ফান্ড গঠনের অগ্রগতি জানতে চান হাইকোর্ট। বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দেন আদালত।

একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সবজি বিক্রেতা আয়নালের পরিবারের সদস্য ও আহতদের ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

সড়ক ও পরিবহন সচিব, আইন সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আজ সারাবেলা/সংবাদ/জাই/আদালত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here