‘টিকাটুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটির মধ্যদিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন সাঞ্জু জন। ‘ঢাকা এ্যাটাক’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারের টার্নিং। তারপর কাজ করেছেন আরও সিনেমা আর ওয়েব সিরিজে। মডেলিং থেকে আসা নায়ক সাঞ্জু জন সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন ব্যবসায়। ‘এসজে ক্লথিং বাই সাঞ্জু জন’ নিয়ে আলাপচারিতা তা সঙ্গে। আর যথারীতি সিনেমার গল্পতো থাকলোই।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ জুবায়ের।
আজ সারাবেলা: আপনিতো সিনেমার নায়ক। স্বাভাবিকভাবেই ভক্তদের কৌতুহল থাকবে হঠাৎ করেই কেন উদ্যোক্তা হতে চাইলেন?
সাঞ্জু জন: ব্যবসায়ী মন মানসিকতা সবারই থাকা উচিত। যখন করোনা মহামারি শুরু হল; প্রডিউসার, আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান সবার কাজ বন্ধ হয়ে গেল। চিন্তা করলাম বিকল্প একটা কিছু করার, যেটা বাইরে না গিয়ে বা অনেক মানুষের মধ্যে না গিয়ে অফিসে বসে করা যায়। এমনিতেও চাচ্ছিলাম শুটিংয়ের পরে অবসর সময়টা ব্যবসায়ে দিব যা হবে আমার বিকল্প পদ্ধতি আর সেখান থেকেই আমার এই পরিকল্পনা।
আজ সারাবেলা: বিকল্প পদ্ধতি বলতে আপনি বলছেন যে, বিকল্প আয়ের একটা উৎস বা বিকল্প আয়ের একটা সুযোগ?
সাঞ্জু জন: নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারব পাশাপাশি একটা আয়ের উৎস এবং সুযোগ।
আজ সারাবেলা: ব্যবসা করতে গেলে বা উদ্যোক্তা হতে হলে অনেক সময় দিতে হয়, শ্রম দিতে হয়, সেক্ষেত্রে আপনি শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সময় দিবেন শ্রম দিবেন এটা কতটা যৌক্তিক বা কতটা সফলতা নিয়ে আসবে আপনার জন্য?
সাঞ্জু জন: আমি যখন শুটিংয়ে থাকি আমার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় পাশাপাশি আমার একটা টিম আছে যাদের উপর দায়িত্ব দিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারি। তাছাড়া এখন সহজে অনলাইনেই যোগাযোগ রাখা সম্ভব।
আজ সারাবেলা: আপনার ব্যবসা সম্পর্কে কি কিছু বলবেন যার সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে, আপনার প্রোডাক্ট পেতে পারে?
সাঞ্জু জন: আমার ইচ্ছা ছিল যদি ব্যবসা করি তাহলে ফ্যাশন হাউস বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করবো। কারন আমি রান্না করতে ভালবাসি। প্রথমে ফ্যাশন হাউস দিয়েই শুরু করলাম। এটা আমি অফিস বা ঘরে বসেই পরিচালনা করতে পারবো। ব্যবসাটা অনলাইনে। সারা বাংলাদেশে আমাদের প্রোডাক্ট ডেলিভারী দিচ্ছি এবং অন্যান্য অনলাইন সপ থেকে কম মূল্যে ভাল প্রোডাক্ট দিচ্ছি। আমার টার্গেট শ্রেণী আমজনতা; তারা অনেক সময় অনেক প্রোডাক্ট দেখে পছন্দ করে কিন্তু অতিরিক্ত দামের জন্য তারা কিনতে চায় না তাদের কথা চিন্তা করে আমি কম মূল্যে প্রোডাক্ট দিচ্ছি যাতে তারা হ্যাপি থাকে; আর তাদের হ্যাপিনেসই আমার প্রাপ্তি।
আজ সারাবেলা: আপনার প্রোডাক্টের বিশেষত্ব কি থাকবে?
সাঞ্জু জন: ছেলে এবং মেয়েদের এক্সপোর্ট কোয়ালিটির ট্র্যান্ডিং কালেকশন রয়েছে। কিছুদিন পর থেকে আমার নিজস্ব ডিজাইনের প্রোডাক্ট বাজারজাত করবো। ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে দাড় করাতে গেলে অবশ্যই নিজস্বতা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য স্থির করেই ‘এসজে’কে ব্র্যান্ড হিসেবে এগিয়ে নেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
আজ সারাবেলা: আপনি ‘এসজে’ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
সাঞ্জু জন: আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার ব্যান্ড নিয়ে আশাবাদী। অল্প ক’দিনেই বেশ সাড়া পাচ্ছি। আশা করি মানুষের ভালোবাসা পেলে অনেক দূর যেতে পারব।
আজ সারাবেলা: এবার অভিনয়ের দিকে আসি। এখন কোন কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে?
সাঞ্জু জন: প্যান্ডামিকের পর নতুন করে কাজ শুরু হচ্ছে সব জায়গাতেই। ফটোশুটে যাচ্ছি। ‘সোলমেট’ এবং ‘বর্ডার’ নামে দুটো ফিল্মের কাজ শেষ করেছি। চ্যানেল আইয়ের ‘ছায়াবাজি’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করছি। আরও কিছু সিনেমার কাজ হাতে রয়েছে, ‘পালাবি কোথায়’, ‘ভিটামিন সি’, ‘ইন্ড্রাস্টি’ এবং ‘ক্যাশ’। সবমিলিয়ে মোটামোটি কাজের চাপ যাচ্ছে ।
আজ সারাবেলা: আপনিতো উদ্যোক্তা হিসেবে আতœপ্রকাশ করেছেন সেক্ষেত্রে সিনেমা বানানোর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?
সাঞ্জু জন: অবশ্যই। আল্লাহ যদি আমাকে ক্ষমতা দেয় তাহলে অবশ্যই আমি ফিল্ম প্রডিউস করবো এবং আমার এইটাও ইচ্ছা আছে নিজের নামে একটা প্রোডাকশন হাউস খোলার। যেখানে অন্যরাও কাজ করতে পারে, আমিও কাজ করতে পারি।
আজ সারাবেলা: আপনি নিজের নামের কথা বলেছেন, সেই সূত্র ধরেই যদি বলি, নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য আপনি কি করেছেন বা কি করছেন?
সাঞ্জু জন: আমার জার্নিটা শুরু ২০০৭ সাল থেকে। এ পর্যন্ত আসতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। মানুষ আমাকে দেখে, আমার অভিনয় দেখে। মানুষের ভালোবাসায়ই সাঞ্জু জন হতে পেরেছি।
আজসারাবেলা/সংবাদ/রই/সাক্ষাৎকার