মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ বাংলাদেশি নিহত

0
622

সারাবেলা ডেস্ক : ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশ মরিশাসে বাস দুর্ঘটনায় চারজন বাংলাদেশি কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৮ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের অদূরে আজ বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক বাংলাদেশিকে পোর্ট লুইসের ডা. এ জি জিটু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

মরিশাস থেকে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ দুর্ঘটনা ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত চার বাংলাদেশি হলেন ফারুক ইসলাম, সঞ্জয় দাস, রকিব মোল্লা ও আবদুর রাজ্জাক। আবদুর রাজ্জাক ছাড়া অন্য সবার পরিবারের সদস্যরা নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

হাইভেক লিমিটেড নামের একটি নির্মাণপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মীকে নিয়ে বাসটি প্রতিষ্ঠানটির দপ্তরে যাচ্ছিল। পথে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের ৫১২ জন কর্মী কাজ করছেন।

রেজিনা আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর অন্যজন মারা যান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য দুজনের আঘাতও কিছুটা গুরুতর। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্য পাঁচজনের অবস্থা তেমন জটিল নয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই ৮ জনের বাইরে অন্য ১০ বাংলাদেশি কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় মরদেহ ফিরিয়ে আনা এবং হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিনা আহমেদ জানান, এ নিয়ে মরিশাসের শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে তিনি অংশ নিয়েছেন। মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে কথা হয়েছে। কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হাইভেক লিমিটেড ক্ষতিপূরণ দেবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নেবে।

রাষ্ট্রদূত জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এখনো পুরোদমে আকাশপথে যাত্রী চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় মরদেহ পাঠানো হবে। এ মুহূর্তে সুরতহাল শেষে নিহত চার বাংলাদেশির মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশ মরিশাসে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন।

আজ সারাবেলা/তা/প্রবাস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here