করোনায় ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা ইউএনও ওয়াহিদা

0
475
ওয়াহিদা খানম

সারাবেলা রিপোর্ট: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলাবাসীকে করোনামুক্ত রাখতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছিলেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম। করোনা মহামারীর সংকটে তিনি ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন।

দুর্বৃত্তের হামলায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদ খানম সম্পর্কে এমন তথ্য দিচ্ছেন তার ব্যাচমেট ও অগ্রজরাও।

ওয়াহিদা খানমের ব্যাচমেট নোয়াখালী সদরের ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা জানিয়েছেন, ব্যাচমেট হওয়াতে ওয়াহিদার সঙ্গে তার প্রায়ই যোগাযোগ ছিল। করোনার শুরুর দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ঘরে ঘরে মাস্ক বিতরণ করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এলাকার লোকজন যাতে করোনামুক্ত থাকে সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

একটি উপজেলাকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিতে নারী অফিসার হয়েও রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। তার ওপর এমন বর্বর হামলায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই জানান ব্যাচমেট উপমা।

এদিকে, হামলার পর পরই ঘটনাস্থলে যাওয়া বিসিএস প্রশাসনের এক কর্মকর্তা একটি ফেসবুক গ্রুপে ঘটনার বীভৎসতার বর্ণনা দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে লিখেছেন, স্পটে আছি বন্ধুরা এরকম ঘটনা মেনে নেয়া যাবে না।

আরো লেখেন, বদমাইশগুলো হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর নাক থেতলে দিয়ে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করছে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। যখন সে পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেছে তখন তারা চলে গেছে মারা গেছে ভেবে। সবাই দোয়া কর আল্লাহ যেন ওয়াহিদাকে রক্ষা করে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে গিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে ইউএনও ওয়াহিদা এবং তার বাবা ওমর আলী গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীরা ওয়াহিদা খানমের ৩ বছরের শিশু সন্তানের সামনে দুজনকে কুপিয়ে জখম করে।

এয়ার এম্বুলেন্সে দুপুরের দিকে ঢাকায় আনা হয়। রাতে সফল অস্ত্রোপচারের পর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে।

আজসারাবেলা/সংবাদ/রই/জাতীয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here